পঞ্চগড়ে বর্তমানে তীব্র তাপদাহের কারণে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।এতে নাভিশ্বাস উঠেছে শ্রমজীবী মানুষের।মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘরে বাইরে ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে।এতে করে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও খুব ঘামতে দেখা যাচ্ছে।রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রান হয়ে যাচ্ছে।তাদের আয়-রোজগার বন্ধের উপক্রম। কাজের জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। আর একান্তই যাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে তারা বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না।ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রোদের প্রখরতায় দেখা যায়নি তেমন কোন মানুষজন। চলাচল করতে কম দেখা গেছে বিভিন্ন যানবাহন।পথচারীরা কলের পানিতে মুখ ভিজিয়ে গরম থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে।গরমে একটু জিরিয়ে নিতে কেউবা গাছের তলা, কেউবা ভবনের নিচে আবার কাউকে ডাবের পানি, লেবুর শরবত খেতে দেখা গেছে।একটু শীতলতার জন্য শিশু-কিশোর সকলেই পুকুর ও খালে ছোটাছুটি করছে। তীব্র তাপদাহে কয়েকদিনে হাট-বাজারে মানুষের সমাগম কমে গেছে।
শনিবার দুপুর ৩ টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।এর আগেও শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।বিষয়টি নিশ্চিত করে অফিসটির কর্মকর্তা মো.রাসেল শাহ্ জানান আগামী দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
ফুটকিবাড়ি এলাকার ৭০ বছর বয়সি কফিল উদ্দিন বলেন,গরম প্রতি বছর কম বেশি হয়ে থাকে কিন্তু এবার গরম আমার বুদ্ধি বয়সে এ রকম গরম আগে কখনো অনুভব হয়নি।
মিরগড়ের অটোরিকশা চালক সিফাত জানান,সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০০ টাকা ভাড়া হয় নি।গরমে বাজারে মানুষজন একেবারে কম।
পরিবেশ আন্দোলন পঞ্চগড় আঞ্চলিক কমিটির সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল জানান,বর্তমান তাপদাহ পরিস্থিতি দীর্ঘদিনের পরিবেশ ধ্বংসের একটি ফল। তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কিছুটা দায়ী হলেও তার চেয়ে বেশি দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনাজনিত সংকট। দখলে-দূষণে দেশের বহু নদী এখন মৃতপ্রায়।রেকর্ড তাপমাত্রা দ্রুত কমবে বলে মনে হয় না।কাজেই এ সংকট সমাধানে পঞ্চগড়সহ সারা দেশে ব্যাপক পরিসরে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।নদী ও জলাশয়গুলো উদ্ধার করতে হবে বলেও জানান তিনি।